পেঁয়ারার উৎপাদন প্রযুক্তি
চারা রোপণ
পেঁয়ারার চারা প্রধানত মধ্য-জ্যৈষ্ঠ
থেকে মধ্য-আশ্বিন (জুন-সেপ্টেম্বর) মাসে রোপণ করা হয়।
গর্তের আকার ৫০*৫০*৫০ সেমি, চারা থেকে
চারার দূরত্ব ৪*৪ মি। সার প্রয়োগের সময় মধ্য-ফাল্গুন থেকে মধ্য-বৈশাখ
(মার্চ-এপ্রিল) এবং মধ্য-ভাদ্র থেকে মধ্য-কার্তিক (সেপ্টেম্ব-অক্টোবর)
সারের পরিমাণ
পেঁয়ারা ফসল থেকে উচ্চ ফলন প্রাপ্তি
অব্যাহত রাখতে হলে নিয়মিত নিম্নরূপ হারে প্রতি গাছে সার প্রয়োগ করতে হবে।
সার
|
গর্তে
প্রয়োগ
|
৫
বৎসরের নিচে
|
৫
বৎসরের উপর
|
গোবর
|
১৫-২০
কেজি
|
২০-২৫
কেজি
|
২৫-৩০
কেজি
|
পচা
খৈল
|
১-২
কেজি
|
-
|
-
|
ইউরিয়া
|
-
|
৩০০-৪০০
গ্রাম
|
৫০০-৭০০
গ্রাম
|
টিএসপি
|
১৫০-২০০
গ্রাম
|
৩০০-৪০০
গ্রাম
|
৪৫০-৫৫০
গ্রাম
|
এমপি
|
৭৫-১০০
গ্রাম
|
৩০০-৪০০
গ্রাম
|
৪৫০-৫৫০
গ্রাম
|
শাখা ছাঁটই
পেঁয়ারা সংগ্রহের পর ভাঙ্গা, রোগাক্রান্ত
ও মরা শাখা-প্রশাখা ছাঁটাই করে ফেলতে হবে। তাতে গাছে আবার নতুন কুঁড়ি জন্মাবে।
ফল ছাঁটাই
পেঁয়ারা গাছ প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক ফল
দিয়ে থাকে। গাছের পক্ষে সব ফল ধারণ করা সম্ভব হয় না। তাই মার্বেল আকৃতি হলেই ঘন
সন্নিবিশিষ্ট কিছু ফল ছাঁটাই করতে হবে।
পানি সেচ
খরার সময় ২-৩ বার পানি সেচ দিতে হবে।
অন্যান্য পরিচর্যা
পেঁয়ারার এ্যানথ্রাকনোজ রোগ দমন
পেঁয়ারাপ গাছের পাতা, কান্ড,
শাখা-প্রশাখা ও ফল এ রোগে আক্রানত হয়ে থাকে। কলেটোট্রিকাম সিডি নামক ছত্রাক পেঁয়ারার এ্যানথ্রাকনোজ রোগের কারণ।
প্রথমে পেঁয়ারার গায়ে ছোট ছোট বাদামী রংয়েরর দাগ দেখা যায়। দাগগুলো ক্রমান্বয়ে বড়
হয়ে পেঁয়ারার গায়ে ক্ষতের সৃষ্টি করে। আক্রান্ত ফল পরিপক্ক হলে অনেক সময় ফেটে যায়।
তাছাড়া এ রোগে আক্রান্ত ফলের শাঁস শক্ত হয়ে যায়। গাছের পরিত্যক্ত শাখা-প্রশাখা, ফল
এবং পাতায় এ রোগের জীবাণু বেচে থাকে। বাতাস ও বৃষ্টির মাধ্যমে পেঁয়ারার এ্যানথ্রাকনোজ
রোগ ছড়ায়।
প্রতিকার
1.
গাছের নিচে ঝরে পড়া পাতা ও ফল
সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলতে হবে।
2.
গাছে ফুল ধরার পর টপসিন-এম
প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম অথবা টিল্ট-২৫০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে
মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর অন্তর ৩-৪ বার ভালভাবে স্প্রে করে এ রোগ দমন করা যায়।
উত্তর সমূহ